ভোলায় প্রাথমিক শিক্ষকের এ কেমন প্রতারণা! Latest Update News of Bangladesh

সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




ভোলায় প্রাথমিক শিক্ষকের এ কেমন প্রতারণা!

ভোলায় প্রাথমিক শিক্ষকের এ কেমন প্রতারণা!

ভোলায় প্রাথমিক শিক্ষকের এ কেমন প্রতারণা!




ভোলা প্রতিনিধি॥ শিক্ষকতার মহান পেশাকে কলুষিত করেছেন এক প্রাথমিক শিক্ষক। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম ফিরোজ কিবরিয়া। তিনি ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার পূর্ব উত্তর চরমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

 

 

সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীর মায়েদের মোবাইল ফোন নম্বরের স্থলে নিজ আত্মীয়-স্বজনের মোবাইল নম্বর বসিয়ে উপবৃত্তির এসব টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।

 

 

অভিযোগকারী শিক্ষার্থীদের মা রোজিনা বেগম ও বকুল বেগম জানান, চলতি বছরের উপবৃত্তি প্রথম কিস্তির টাকা গত জুলাই মাসে শিওর ক্যাশের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে দেয়া হয়েছে। কিন্তু তারাসহ ওই বিদ্যালয়ের অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তির টাকা শিওর ক্যাশের মাধ্যমে না পেয়ে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ কিবরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি টাকা না পেলে তার কিছু করার নেই বলে জানান এবং বিষয়টি শিওর ক্যাশের ব্যাপার বলে এড়িয়ে যান।

 

 

পরে অভিভাবকরা খোঁজ নিয়ে নিশ্চিত হন, বিভিন্ন শ্রেণির ৩০ জন শিক্ষার্থীর মায়েদের মোবাইল ফোন নম্বর বদল করে সেখানে নিজের আত্মীয়-স্বজনের মোবাইল নম্বর বসিয়ে প্রধান শিক্ষক তাদের উপবৃত্তির টাকাগুলো বাগিয়ে নিয়েছেন। এভাবে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের বিষয় নিশ্চিত হওয়ার পর সুবিধাবঞ্চিত অভিভাবকরা গত ১৩ আগস্ট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

 

 

বৃহস্পতিবার অভিভাবকদের অভিযোগ অনুসন্ধানে বিদ্যালয় এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, একতলাবিশিষ্ট জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ের দরজা-জানালা কিছু নেই। শ্রেণিকক্ষে কোনো বেঞ্চ নেই। অফিস কক্ষে নেই চেয়ার-টেবিল। দু’জন নারীসহ চার শিক্ষকের এ বিদ্যালয়ে কোনো টয়লেটও নেই। এমন জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ের প্রতি বছরের উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ কী করা হয়েছে এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক।

 

 

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ কিবরিয়া ভয়েস অব বরিশালকে জানান, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন খাতের টাকা আত্মসাতের ঘটনা সঠিক নয়। ভুলবশত শিশু শিক্ষার্থীদের নম্বরের স্থলে অন্য নম্বর ওই তালিকায় বসানো হয়েছে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে এতগুলো শিক্ষার্থীর নম্বর কীভাবে ভুল হয় বা ভুল হয়ে যেসব নম্বরে টাকাগুলো স্থানান্তর হয়েছে সেগুলোর বাহক কারা এমন প্রশ্নের কোনো জবাব প্রধান শিক্ষক ফিরোজ কিবরিয়া দিতে পারেননি।

 

 

অভিযোগ তদন্ত কর্মকর্তা ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ভয়েস অব বরিশালকে জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রথম ধাপে সরেজমিন বিদ্যালয়ে গিয়ে উপবৃত্তি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে আপাতত এর বেশি কিছু মন্তব্য করতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD